মহিলাকে আপত্তিকর প্রস্তাবের প্রতিবাদে বিধায়কের পদত্যাগ চাইলেন মন্ডল সভাপতি
বামুটিয়ার বাম বিধায়ক নয়ন সরকারের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেবার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তার পদত্যাগ দাবি করলেন মন্ডল সভাপতি শিবেন্দ্র দাস। পাশাপাশি দল নিজের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে নয়ন সরকারকে অপসারণ করারও দাবি তুললেন শিবেন্দ্র।

দ্যা ফ্যাক্ট :- বামুটিয়ার বিধায়ক নয়ন সরকারের কারনে তার দলের মহিলা এবং মেয়ে নেত্রীরা হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোন সময় হতে পারে অঘটন। সম্পতি বিধায়ক নয়ন সরকারের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই অভিযোগ আনলেন মন্ডল সভাপতি শিবেন্দ্র দাস। পাশাপাশি বিধায়ক পদ থেকে তার পদত্যাগের দাবি করেছেন মন্ডল সভাপতি।
সম্প্রতি বামুটিয়া বিধানসভা এলাকায় বসবাসকারী এক গৃহবধূ সরাসরি বিধায়ক নয়ন সরকারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর প্রস্তাব দেবার অভিযোগ এনেছেন। এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পুলিশে। অভিযুক্ত বিধায়ককে গ্রেফতার করার দাবিতে শাসক দলীয় বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। শনিবার নরসিংগড়ে বিজেপি বামুটিয়া মণ্ডলের উদ্যোগে অভিযুক্ত বিধায়ককে গ্রেপ্তার করার দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল এবং পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মন্ডল সভাপতি শিবেন্দ্র দাস অভিযোগ করেন গত ৯ তারিখ সামাজিক মাধ্যমে নয়ন সরকার লিখেছেন তার হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক হয়েছে। ১০ তারিখ গৃহবধূ সামাজিক মাধ্যমে নয়নের বিরুদ্ধে আপত্তিকর প্রস্তাবের অভিযোগ আনার পর নয়ন তড়িঘড়ি তার হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। শিবেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন গৃহবধূ অভিযোগ করার পূর্বে কেন হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক হওয়ার বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ করলেন না নয়ন সরকার? তিনি আরো প্রশ্ন তোলেন হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক হয়েছে এই বিষয়টি নয়ন সরকার কিভাবে জানলেন? কারণ এই বিষয়টি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট অথবা এক্সপার্টরা সুনিশ্চিত করবে। মন্ডল সভাপতির বক্তব্য এজনের হোয়াটসঅ্যাপ দ্বিতীয় কেউ ব্যবহার করার জন্য তাকে ওটিপি অথবা এক্সেস দিতে হয়। এই কারণে নয়ন সরকারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক হবার বিষয়টিকে নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শিবেন্দ্র।তাছাড়া নয়ন সরকার আরো একাধিক গৃহবধূ এবং মেয়েদের সাথে সামাজিক মাধ্যমে এই ধরনের আপত্তিকর প্রস্তাব এবং কথোপকথনের তথ্য প্রমাণ বিজেপি দলের হাতে রয়েছে বলে সোজা সাপ্টা অভিযোগ আন শিবেন্দ্র দাস। সঠিক সময়ে এই বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আনা হবে বলে হুশিয়ারি দিলেন তিনি। এমনকি গৃহবধূ পুলিশে অভিযোগ করার পর নয়ন সরকার তাকে ফোন করেছন বলেও জানিয়েছেন শিবেন্দ্র বাবু। এবং সেদিন থেকে তাকে বোন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন নয়ন সরকার। তিনি প্রশ্ন তুলেন তাহলে মামলা করার পূর্ব পর্যন্ত গৃহবধূকে কি নজরে দেখতেন বিধায়ক নয়ন সরকার? গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে পুলিশি তন্ত্রের মাধ্যমে বিধায়ককে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন মন্ডল সভাপতি শিবেন্দ্র দাস।
What's Your Reaction?






