হেজামারায় বলপ্রয়োগ,অশালীন আচরণে বন্ধ সফল করার চেষ্টা TSF-র, সাংবাদিক ও পুলিশের কাজে বাঁধা
হেজামারা সিমনা এলাকায় সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি এই বন্ধ
দ্যা ফ্যাক্ট ব্যুরো:-রোমান স্ক্রিপ্টের দাবিতে পথ অবরোধ এবং বন্ধ সফল করতে গিয়ে হুমকি আক্রমণের পথ বেছে নিল টিএসএফ। সোমবার হেজামারা এলাকায় বন্ধের সমর্থকরা বিডিওর গাড়ি ঘিরে ধরে হেনস্থা, কর্মরত সাংবাদিকদের পথ আটকে দেওয়া এবং জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে আক্রমণের চেষ্টাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে সংগঠনের সদস্য সদস্যাদের মানসিকতাকে ঘিরে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগরতলা খোয়াই জাতীয় সড়কের হেজামারা এলাকায় সকাল ৬ টা থেকেই অবরোধ করার কথা ছিল টিএসএফের। যদিও সকাল প্রায় ১০ টা নাগাদ এই সড়কের খোয়াই চৌমুহনীতে অবরোধ করে টিএসএফ। খোয়াই চৌমুহনি এলাকায় অবরোধ সংঘটিত হওয়ার প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যেই বাধা দিতে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন। অবশেষে এই স্থান ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার পথে পুলিশি বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় অবরোধকারীরা।
পরবর্তী সময়ে হেজামারা ব্লকের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। এর মধ্য থেকেই হেজামারা ব্লক এবং অন্যান্য অধিকারীদের অফিসে আসার কারণে হেনস্তা করে। এমনকি হেজামারা ব্লকের বিডিওর গাড়িতে আঘাত পর্যন্ত করে অবরোধকারীরা। অন্যদিকে জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন বন্ধ করার জন্য বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে অস্হায়ি গেট ভাঙ্গার চেষ্টা করে অবরোধকারীরা। দাবি করা হয় বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন বন্ধ করার জন্য। যারা বন্ধ আহ্বান করেছে তারা একটি ছাত্র সংগঠন। সেই ছাত্র সংগঠন শিক্ষার্থীদের পঠন পাঠাটন বন্ধ্য করতে যে ধরনের ভূমিকা নিল তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অন্যদিকে এই দিন দুপুরে হেজামারা ব্লকের সামনে বিক্ষোভরত অবস্থায় বিডিও বেরিয়ে যাওয়ার সময় উনার গাড়িতে আঘাত করে কতিপয় বন্ধ সমর্থক। এখানেই থেমে থাকেনি বন্ধ সমর্থকরা। খোয়াই চৌমুহনি এলাকায় দুপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের পথ আটকায় টিএসএফের কতিপয় সদস্য। দাবি করা হয় পরিচয় পত্র দেখানোর। যদিও পরবর্তী সময়ে অন্যান্য সদস্যরা এসে সাংবাদিকদের পথ আটককারীদের সরিয়ে নিয়ে যায়। দিনভর একমাত্র এডিসি এলাকা ছাড়া সাধারণ এলাকাগুলোতে বন্ধের ছিটেফোঁটা প্রভাব দেখা যায়নি। এই বন্ধকে কেন্দ্র করে রীতিমতো এলাকার সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন এইদিন।
What's Your Reaction?