ডাম্পিং স্টেশনে ময়লার স্তুপে অগ্নিসংযোগ, নাশকতার উদ্দেশ্যেই অগ্নি সংযোগ নয়তো ?
দেবেন্দ্রচন্দ্রনগরে ডাম্পিং স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনল দমকল বাহিনী। শনিবার সূত্রপাত হয় এই অগ্নিসংযোগের। রবিবার দুপুরের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে দমকল বাহিনী।
দ্যা ফ্যাক্ট :- দেবেন্দ্র চন্দ্র নগরে আগরতলা পুর নিগমের ডাম্পিং স্টেশনে আবারো অগ্নিসংযোগ। দুদিন যাবত দীর্ঘ প্রচেষ্টা চালিয়ে দমকলবাহিনী নিয়ন্ত্রণে আগুন। যদিও এই অগ্নিসংযোগে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে কিভাবে এই অগ্নি সংযোগ হয়েছে তার স্পষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যায়নি। পূর্বের অগ্নিসংযোগের ঘটনার রহস্য এখনো অন্ধকারে থাকায়ে বর্তমানে অগ্নি সংযোগের রহস্য কতটা উন্মোচন হবে তা নিয়ে করছে প্রশ্ন?
শনিবার রাতে দেবেন্দ্রচন্দ্রনগরে ডাম্পিং স্টেশনে বীভৎস অগ্নিসংযোগ ঘটে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে একসাথে অগ্নি সংযোগ ঘটার ফলে দমকল ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও রাতভর চেষ্টা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি আগুন। রবিবার দুপুরের পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। যদিও রাত নয়টা নাগাদ খবর করা পর্যন্ত দমকল বিভাগের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে রয়েছে। কারণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও সম্পূর্ণরূপে নিভে যায়নি। কিভাবে এই অগ্নি সংযোগের উৎপত্তি হয়েছে সে বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু ময়লা স্তূপ সহ ময়লা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের ভয়াবহ অগ্নি সংযোগ কোন স্বাভাবিক দুর্ঘটনা নয় বলেই ধারণা করছে সাধারণ মানুষ। ইতিপূর্বেও এই ডাম্পিং স্টেশনে একইভাবে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনাটিরও সঠিক কারণ প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
ডাম্পিং স্টেশনের আভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে সঠিকভাবে ময়লা আবর্জনা গুলো প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে না। সেই বাম আমলেই প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হলেও এখন পর্যন্ত সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা হচ্ছে। যার ফলে ময়লা স্তূপ কমাতে এই রহস্যজনক অগ্নিসংযোগের ঘটনা বলে সুত্র মারফত খবর পাওয়া গেছে। এই অগ্নিসংযোগের ফলে বিষাক্ত ধোঁয়ায় এলাকার মানুষ অত্যন্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। স্থানীয় জনগণের দাবি এই ডাম্পিং স্টেশনের অগ্নি সংযোগের ঘটনা সঠিক তদন্তের পাশাপাশি আবর্জনা বিজ্ঞান ভিত্তিক পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াকরণ স্বাভাবিক করা হোক।
What's Your Reaction?