অবশেষে সিধাই থানা এলাকায় গাঁজা গাছ কাটতে মাঠে নামলো পুলিশ
সুন্দর টিলি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকাতে গাঁজা গাছ কেটে নিজেদের মান বাঁচিয়ে চলছিল সিধাই থানার পুলিশ। অবশেষে নিজ এলাকাতে গাঁজা গাছের দা লাগাল সিধাই থানা।
দ্যা ফ্যাক্ট :- অবশেষে কোনে বউয়ের লাজ ভেঙ্গে সিধাই থানা এলাকাতে গাঁজা বিরোধী অভিযানের নামলো পুলিশ। জগতপুর তৈরাজ রাজবাড়ী এলাকায় গাঁজা বিরোধী অভিযান চালায় সিধাই থানা। এখানে প্রায় ২০ হাজার গাঁজা গাছ নষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিধাই থানার সেকেন্ড অফিসার রথীন্দ্র দেববর্মা।
গোটা গাঁজার মরশুমে সুন্দর টিলা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকাতে গাঁজা বিরোধী অভিযান চালিয়েছে সিধাই থানার পুলিশ। কিন্তু সিধাই থানা এলাকাতে একটিও গাঁজা গাছ কাটেনি পুলিশ। সিথাই থানা থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বে বিপুল পরিমাণ গাঁজা বাগান তৈরি হলেও সিধাই থানার পুলিশ ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকায়। অবশেষে সংবাদ মাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে সিধাই থানার এই ভূমিকাকে কেন্দ্র করে নিয়মিত সমালোচনার পর লাজে শরমে মাঠে নামতে বাধ্য হল সিধাই থানা। মঙ্গলবার সেকেন্ড অফিসারের নেতৃত্বে টিএসআর এবং সিআরপিএফ গাঁজা বিরোধী অভিযান চালায়। ধ্বংস করা হয় গাঁজা গাছ। তবে যে পরিমাণ গাঁজা গাছ ধ্বংস করা হয়েছে সিধাই থানা এলাকাতে এটি যৎসামান্য। মোহনপুরের এসডিপি, সিথাই থানার ওসি, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পুলিশ সুপার পৃথক পৃথক দল নিয়ে প্রতিদিন গাঁজা গাছ কাটলেও অন্তত সিধাই থানা এলাকার গাঁজা বাগান কেঁটে শেষ করতে পারবে না পুলিশ। কিন্তু এরপরেও সিধাই থানা এলাকাতে গাঁজা কাটার ক্ষেত্রে চরম অনিহা পশ্চিম জেলা পুলিশ আধিকারিকের। পুলিশের এই খামখেয়ালীতে আর কিছুদিনের মধ্যেই অবৈধভাবে চাষ করে গাঁজা সংগ্রহ করে ঘরে তুলবে গাঁজা চাষিরা। এখন দেখার পশ্চিম জেলার পুলিশ প্রশাসন গাঁজা ধ্বংস করার ক্ষেত্রে লাজুক ভূমিকা ছেড়ে মাঠে নামে কিনা। পাশাপাশি লেফুঙ্গা থানা এলাকাতেও বিপুল পরিমাণ গাঁজা বাগান ধ্বংস করার ক্ষেত্রে নিয়মিত অভিযান থেকে বিরত থাকছে পুলিশ।
What's Your Reaction?